‘ভ্যালেন্টাইন ডে’তে গার্লফ্রেন্ডকে আড়ংয়ের থ্রিপিস দিতে পারলেন না। অমনি সে ঘোষণা দিয়ে দিল,“তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।” আর আপনিও সে কথা বিশ্বাস করে নিয়ে নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে করে দুই পুরিয়া হেরোইন সমেত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক কোণায় বসে গেলেন। ভুল করলেন!

যে বয়ফ্রেন্ডকে নিজের মা-বাবার চেয়ে বেশি ভালবসেছিলেন সেই একদিন বলল,“তোমার মত একটা আনস্মার্ট মেয়ে আমার সাথে যায় না।” আর আপনিও সে কথা বিশ্বাস করে নিয়ে নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে করে ফ্যানের সাথে সাধের ওড়নাটা পেঁচিয়ে লটকে গেলেন। ভুল করলেন!

অনেক পড়াশুনা করেও ক্লাসে স্যারের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না। একদিন স্যার মুখের উপর বলেই বসলেন,“তোমার মত ছাগল দিয়ে পড়াশুনা সম্ভব না।” আর আপনিও সে কথা বিশ্বাস করে নিয়ে নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে করে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে ছন্নছাড়া হয়ে গেলেন। ভুল করলেন!

পরীক্ষায় এ+ পেলেন না, বাসার সবাই নাখোশ। রাতে খাবার টেবিলে মা বলেই দিলেন,“তোর মত পোলা জন্ম দিয়ে আমি ভুল করছি।” আর আপনিও সে কথা বিশ্বাস করে নিয়ে নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে করে পাড়ার মাস্তানদের ভিড়ে মিশে গেলেন। ভুল করলেন!

নিজের হৃদয়ে শুধু একটি কথাই গেঁথে রাখবেন, “কিছু মানুষের চেয়ে কিছু অংশে হয়ত আমি খারাপ কিন্তু অনেকের চেয়ে অনেক অংশেই আমি ভাল।”