প্রতিদিন চার-পাঁচ ঘন্টা প্রোগ্রামিং করার মত অনুপ্রেরণা কোথায় খুঁজে পাওয়া যাইতে পারে? হয়ত প্রশ্নটা আপনার মনেও ঝনঝন করে বাজছে। আর এই বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটার একটা জুতসই জবাব দিয়েছেন Juan Gallardo নামের একজন রুবি প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং করতে বসলেই যাদের মন ময়না পাখির মত ছলাত-ছলাত করে, তাদের জন্য আমি লেখাটার ভাবানুবাদ করে দিচ্ছি।

কৌশল হইল, এমন সব প্রজেক্ট করা যা তোমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। এটা সত্যিই কোন ব্যাপার না যে তুমি কি করতেছ। বিলাই নিয়া একটা ব্লগ বানাইতে পার, কুত্তাদের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট বানাইতে পার, এমনকি ডোনাট রিকমেন্ডেশন ইঞ্জিনও বানাইতে পার। শুধুমাত্র এমন কিছু খুঁজে বের কর যার প্রতি হয় তুমি অস্থির রকমের উৎসাহী আর না হয় যা তোমায় ব্যাপক হারে বিনোদন দেয়। যেমন ধর, বিলাই হ্যাকাথনে আমি বিলাইদের জন্য মাইস্পেস টাইপের একটা সাইট বানাইছিলাম। কারণ আমি এটায় অস্থির রকমের মজা পাইছিলাম। আর ব্যাপক পরিসরে চিন্তা করলে আমি এটা থেকে অনেক কিছু শিখেছিলামও।

আরেকটা কৌশল যা আমায় কাজে দিছিল, সেটা হইল – ভিন্ন ধরনের একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়া গুঁতাগুঁতি করা। আমি iOS আর Ruby on Rails এর উপর থেকে আগ্রহ হারাইয়া ফেলতেছিলাম। বিশেষত যখন আমি একটা কর্পোরেট জবে .net এনভায়রনমেন্টে কাজ করতাম। আমার মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে বাড়িতে নিজের প্রজেক্টগুলোতেও কাজ করতে মন চাইত না।

তো আমি কি করেছিলাম?

আমি পাইথন শিখেছিলাম। আমি মূলত এটার সিমপ্লিসিটি দেইখা প্রেমে পইড়া যাই। আর এটা দিয়ে আমি সত্যিকার অর্থেই কিছু বানাইতে পারছিলাম যা আমাকে খুব দ্রুত অনুপ্রেরণা জোগায়।

তুমি যদি কিছু অস্থির প্রোগ্রামারদের সান্নিধ্যে থাক এবং তাদেরকে উদ্যমের সাথে কিছু ডেভেলপ করতে দেখ তবে সেটাও তোমাকে অনুপ্রেরণা দেবে। আরো ভাঙাইয়া বলতে গেলে - গেমস, ওয়েবসাইট, অ্যাপস যা তারা প্রতিনিয়ত তৈরি করে চলেছে।

একজন ছাত্র হিসেবে আমি তোমার প্রতিবন্ধকতা ও ফ্রাস্ট্রেশন সম্পর্কে জানি। একাডেমিক জীবনের গ্যারাকলে প্রোগ্রামিং বিরক্তিকর হওয়াই স্বাভাবিক। এইজন্য বলি, কোন স্টার্ট-আপ কোম্পানিতে কাজ কর, নলেজ-শেয়ারিং ক্লাস নাও, ওপেনসোর্স প্রজেক্টে কন্ট্রিবিউট কর আর হ্যাকাথনে যাও।

মদ্দা কথা হল, নিজের আইডিয়াকে ইমপ্লিমেন্ট করার মত এতটা প্রেরণাদায়ক জিনিস দুনিয়ায় আর কিছুই নাই।